Readme2Know । (কিছু সত্য জানতে- কিছু সত্য জানাতে) । The Pure Guidelines । Get us on FreeBasic.Com

কিভাবে দ্বীনদার তথা ভালো স্ত্রী হবেন ও কিভাবে স্বামির ভালোবাসা পাবেন? ১৪ টি উপায় জেনে নিন

১৪ টি উপায় জেনে নিন, যেভাবে দ্বীনদার তথা ভালো স্ত্রী  হবেন ও স্বামির ভালোবাসা পাবেন!! 
 


আজকের টপিকটি বিবাহিত ভাই-বোনদের জন্য অসাধারণ উপকার হবে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ।
--------------------------------------------------
১// বিয়ের পর থেকেই চেষ্টা করুন আপনার স্বামীর যেকোনো চিন্তা ও মতামত বা পরামর্শ যেটাই হোক- স্বামীর সিদ্ধান্তকে নিতান্ত ঠেকায় পড়ে নয়; বরং সন্তুষ্টচিত্তে প্রাধান্য দিন।

২// স্বামীকে সম্মান করুন। শ্রদ্ধা করুন। মনে রাখবেন- সম্মান ও শ্রদ্ধাহীন সম্পর্ক এবং কচু পাতার পানির মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। আজকে না হোক কালকে একদিন একদিন তা নষ্ট হবেই।

৩// স্বামীর যতগুলো আদেশ নির্দেশ এবং উপদেশ আপনাকে তিনি দিবেন তার মধ্যে ইসলামী শরীয়াতে নিষিদ্ধ বিষয় ছাড়া অন্য সকল বিষয় তার প্রতি অনুগত থাকুন। নিষিদ্ধ বিষয় যেমন পার্লারে যাওয়া সিনেমা হলে যাওয়া বা তার দেবরের সাথে বা বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলা ইত্যাদি। তাহলে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন যে কিভাবে দ্বীনদার তথা ভালো  স্ত্রী কিভাবে হবেন ? 

৪// আর আনুগত্যের বিষয়টা যতটা অনুগত থাকার জন্য হুজুর সা. একথা বলেছেন- ‘আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কাউকে যদি সিজদাহ করা জায়েজ হতো, তাহলে আমি স্ত্রীদেরকে হুকুম করতাম তারা যেন তাদের স্বামীকে সিজদাহ করে।’ তাহলে আপনি বুঝবেন  স্বামির ভালোবাসা পাবেন কিভাবে? 

৫// আপনি যদি নিজের দাম সব থেকে আপনার স্বামীর কাছে বাড়িয়ে নিতে চান তাহলে সব সময় হাস্যজ্বল থাকুন। একথার অর্থ এই-না যে, সারাক্ষণ পাগলের মতো হাসতে হবে। অর্থাৎ স্বামীর সাথে হাসিমুখে কথা বলুন। একটা পেঁচার মতো করে কালা করবেন না তার কথায় অভিমান করবেন না। এর ফলে আপনি  দ্বীনদার তথা ভালো  স্ত্রী  হবেন ও স্বামির ভালোবাসা পাবেন।

৬// তার সাথে জেদ করবেন না। আড়াআড়ি করবেন না। মনে রাখবেন- স্বামীর সাথে জেদ করা মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। 

পুরুষ নারীর নমনীয়তাকে (নরম আচরণ) ভালোবাসে। কোমলতাকে ভালোবাসে। তার কাছে অমূল্য , ও দামী হতে চাইলে নিজেকে নমনীয় রেখে কোমল ব্যবহার রপ্ত করুন। সুখি হবেন।  দ্বীনদার তথা ভালো  স্ত্রী  হবেন ও স্বামির ভালোবাসা পাবেন। 

৭// লাজুক হোন। লাজুকতা পুরুষত্বকে আকর্ষণ করে। অযথা কোনো বিষয় চেঁচামেচি করা, তর্ক বিতর্ক করা, কথার উপর কথা বলা ,এগুলো থেকে আপনি বিরত থাকুন। তাহলে ই আপনি আপনার  স্বামির ভালোবাসা পাবেন।

৮// অতিরিক্ত সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকুন। বিয়ের আগে অভিভাবকের মাধ্যমে ছেলের চারিত্রিক স্তর বিস্তারিত জেনে নিন। তবুও যদি বিয়ের পর বিচ্যুতি দেখা দেয় বা সন্দেহ হয়, গোয়েন্দাগিরি না করে তার যত্ন নেয়া বাড়িয়ে দিন। তার বাবা-মাকে আগের চেয়ে বেশি ভালোবাসুন। তাদের প্রতি খুব খেয়াল রাখুন। 

৯// স্বামীর কাপড়চোপড় সহ কখন কী প্রয়োজন ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র সহ সাংসারিক টুকিটাকি বিষয় নখদর্পণে রাখুন। তার সবকিছুতে যত্নের ছোঁয়া লাগিয়ে দিন। তার ভালো লাগা বিষয়কে নিজেও পছন্দ করুন, আর অপছন্দনীয় বিষয়কে অপছন্দ করুন। এবার নিজেই দেখতে পাবেন , কিভাবে দ্বীনদার তথা ভালো  স্ত্রী কিভাবে হবেন ও স্বামির ভালোবাসা পাবেন? 

১০// তাকে একথা বুঝিয়ে দিন- পৃথিবীতে আপনার চেয়ে বেশি ভালোবাসা তাকে আর কেউ দিতে পারবে না! তবে সাবধান! মুখে নয়; কাজে প্রমাণ করুন। 

১১// অলসতা ঝেড়ে ফেলুন। খুব ভোরে ওঠার অভ্যাস করুন। এটা স্বামীর বাড়ি। শশুড়-শাশুড়ি, দেবর-ননদ আছে এখানে। সবার মন বুঝে সবাইকে বশে নিয়ে আসুন। এসবের জন্য তাবিজ লাগে না, সুন্দর ব্যবহার করুন। (বলা বহুল্য যে- তাবিজ হারাম) .
 আলস্য ও গোমড়া মুখকে  চিরদিনের জন্য লুকিয়ে ফেলুন। না হয় এগুলোই আপনার সুখকে নষ্ট করে দেবে। তবুও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু দেখা দিলে ঘরের কথা বাইরে অন্য কাউকে না বলে সবর করুন। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। অন্যথায় কিভাবে দ্বীনদার তথা ভালো  স্ত্রী কিভাবে হবেন? 


# ফেরাউন ছিল পৃথিবীর অন্যতম দুর্ধর্ষ এবং ভয়ানক খারাপ এক ব্যক্তি।লক্ষ লক্ষ শিশুকে যে আগুনে পুড়িয়ে মারতো এ কারণে যে তারা বড় হয়ে হয়তো তার সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং রাজত্ব নিতে চাইবে (নাউজুবিল্লাহ) কত ভয়ানক দৃষ্টান্ত।  তবুও তার স্ত্রী আছিয়া ,কখনো তার জন্য বদদোয়া করেননি বা, তার জন্য খারাপ ব্যবহার করেননি। বরং দোয়া করেছেন নিজের জন্য মহান আল্লাহর কাছে এবং ফেরাউনের অত্যাচার থেকে তিনি আল্লাহর কাছে পানা চেয়েছেন এতোটুকু পর্যন্তই শেষ। আপনার স্বামীকে ফেরাউন এর চেয়ে খারাপ ? নিশ্চয়তা তা নয়।

১২// স্বামী ঘরে আসার আগেই গোসল করে, সুন্দর-আকর্ষণীয় জামাকাপড় পড়ে, পারফিউম (পারফিউম টা অবশ্যই হালাল হতে হবে। নারীদের জন্য নিজের স্বামীকে খুশি করতে ঘরোয়া পরিবেশে সুগন্ধী ব্যবহার করা জায়েজ। অন্যথায় জায়েজ নেই। আবার ঘরে বাহির কোন মেহমান বেড়াতে আসলেও সুগন্ধি মাখা জায়েজ নেই) এসব নিয়ম লক্ষ রেখে সুগন্ধি ব্যবহার করে,  সাজুগুজু করে নিজেকে বাইরের ফাহেসা নারীদের চেয়ে বেশি সুন্দর করে সাঁজিয়ে তৈরি রাখুন। দেখুন অবশ্যই স্বামির ভালোবাসা পাবেন!!

১৩// আপনার স্বামী অফিস বা বাইরে থেকে আসলে ঘরের দরজা পর্যন্ত গিয়ে তাকে এগিয়ে আনুন। হাতে কিছু থাকলে নিজ হাতে নিয়ে পাশে রেখে দিয়ে আগে বসতে দিন। একটু বাতাস করুন। জামার বুতামটা খুলে দিন। মিনিটখানেক পর একগ্লাস শরবত করে দিন। ব্যা ড্রাগ নিলে যেমন নেশায় ধরে, আপনার স্বামীকেও তেমন নেশায় ধরবে। আপনার নেশা। ভালোবাসার নেশা! হালাল নেশা! বুঝতে পারছেন কিছু,কিভাবে স্বামির ভালোবাসা পাবেন? 

১৪// কিছু কিছু ছেলেদের প্রচুর মেজাজ। তাই কোনোভাবে তাকে অপমান করবেন না। কটাক্ষ করবেন না। স্বামীর কোনো ত্রুটি নজরে আসলে যখন-তখন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। একান্ত সময়ে, বিনয়ের সাথে, ভালোবাসা সহকারে অনুরোধের সুরে বুঝিয়ে বলুন, রাজা-রাজ্য সবটাই আপনার হবে। সে মন থেকে আপনাকে ভালোবাসবে।

স্বামীকে রাজার মতো মানুন। রানির মর্যাদা পাবেন। আর স্বামীকে আপনি গোলামের মতো ভাবলে- আপনিও আপনার কাছে বান্দির মতো থাকবেন। চয়েজ আপনার।

আপনার ইচ্ছা- সারাক্ষণ স্বামী আপনার পাশে থাকবে। আপনাকে ভালোবাসবে। হে বোন, জেনে রাখুন! আপনার স্বামীর মনেও একই ইচ্ছা। একই আশা। স্বাদ-আহ্লাদ তারও কম নেই। 

কিন্তু দিনশেষে আপনার মুখে দু'মুঠো খাবার কে তুলে দেবে? আপনার অসুস্থতায় পাগলের মতো ছোটাছুটি করে ডাক্তারের পেছনে বেহিসাব টাকা কে বিলাবে? আপনার অনাগত সন্তানের দুলনিটা কে কিনে দেবে? বাবুর প্যাম্পাস, ছোটছোট জামা আর নানানপদের খেলনা কে এনে দেবে?

বোন আমার! যে মানুষটি বিয়ের আগে আপনার স্বামী বিভিন্ন যোগ্যতার কারণে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে,  , ঠিক সেই মানুষটিই আজ আপনার ও আপনার সন্তানের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য, দু'মুঠো খাবারের যোগান দেয়ার জন্য, সুনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে চাকর বানিয়েছে, চাকর মানে চাকরি করা, যারা চাকরি করে তারা বোঝে। যদিও বাহির থেকে সৌন্দর্যটা অনেক সুন্দর দেখা যায়।

 তাই সর্বদা তার থেকে তাজা গোলাপের আশা না করে মাঝেমধ্যে নিজেও একটি গোলাপ কি উপহার দেয়া যায় না? 

আপনার চেষ্টার সর্বোচ্চটা দিয়ে যখন আপনাকে ভুলে  যাওয়া স্বামীর জন্য শেষরাতে রবের কাছে দু'হাত তুলবেন, চোখের পানিতে বুক ভাসাবেন। - ইন-শা-আল্লাহ আপনি বিজয়ী হবেন। এভাবেই দ্বীনদার তথা ভালো  স্ত্রী  হবেন ও স্বামির আন্তরিক খাঁটি ভালোবাসা পাবেন। । ইনশাআল্লাহ। 

আমার জন্য দোয়া করবেন। আজকের লেখার বিষয়  আপনার মূল্যবান মতামত মন্তব্য বা কোন প্রশ্ন থাকলে লেখার নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। পরবর্তী লেখা "কিভাবে দ্বীনদার স্বামী হবেন এবং স্ত্রীর ভালোবাসা পাবেন?" শীর্ষক প্রবন্ধটি পড়ার আমন্ত্রন রইল।

 আমাদের এই সাইটের নিচে আপনার যেকোনো অ্যাক্টভ ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন পরবর্তী লেখাগুলো পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইল ইনবক্সে। 

কোন মন্তব্য নেই

Page 1 of 31123...50
LOAD MORE POST
Blogger দ্বারা পরিচালিত.