ফরজ গোসল করার সহিহ-শুদ্ধ পদ্ধতি কী?
# ফরজ গোসল করার সহিহ-শুদ্ধ পদ্ধতি কী?
------------------- ফরজ গোসলের ফরজসমূহ হলো-
গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত।
১. গড়গড়া কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা।
--------------------- ফরজ গোসলের সুন্নাত আমলগুলো হলো-
১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গোসল করার নিয়ত করা।
২. ফরজ কাজগুলোর মাঝে ক্রম বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
৩. প্রথমে ওজু করা।
৪. দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধোয়া।
৫. শরীরে কোনো নাপাকি থাকলে তা দুর করা।
৬. মেছওয়াক করা।
৭. সারা দেহে তিন বার পানি ঢালা। (* তবে এটা এমন না যে ৩ বারই দিতে হবে আর দেয়া যাবেনা. আসলে গোসল শেষে সারা গায়ে ৩ বার পানি ঢালা সুন্নাত ..*)
---------------- ফরজ গোসলের মুস্তাহাবসমূহ হলো-
১. উচু স্থানে বসে গোসল করা যাতে পনি গড়িয়ে যায় ও গায়ে ছিটা না লাগে।
২. পানির অপচয় না করা।
৩. বসে বসে গোসল করা।
৪. লোক সমাগমের স্থানে গোসল না করা।
৫. পাক জায়গায় গোসল করা।
৬. ডান দিক থেকে গোসল শুরু করা।
---------------------- ফরজ গোসলের সঠিক-শুদ্ধ নিয়ম-পদ্ধতি
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়ত করাতেই হবে এমনটা ভাবা বা জরুরি মনে করা বিদআত।
২. প্রথমে দুই হাতে কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুয়ে নেওয়া।
৩. এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করা এবং শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুয়ে পরিস্কার করা।
৪. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলা।
৫. এরপর অজু করতে হবে তবে দুই পা ধোয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এরপর সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
---------------------- বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে
১. ফরজ গোসলে পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
মূল : মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন (রহ.)
ভাষান্তর : মাওলানা মিরাজ রহমান
যুক্ত (* পেজ লেখক*)আ
------------------- ফরজ গোসলের ফরজসমূহ হলো-
গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পরলে ফরজ গোসল আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করা উচিত।
১. গড়গড়া কুলি করা।
২. নাকে পানি দেওয়া।
৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা।
--------------------- ফরজ গোসলের সুন্নাত আমলগুলো হলো-
১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গোসল করার নিয়ত করা।
২. ফরজ কাজগুলোর মাঝে ক্রম বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
৩. প্রথমে ওজু করা।
৪. দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধোয়া।
৫. শরীরে কোনো নাপাকি থাকলে তা দুর করা।
৬. মেছওয়াক করা।
৭. সারা দেহে তিন বার পানি ঢালা। (* তবে এটা এমন না যে ৩ বারই দিতে হবে আর দেয়া যাবেনা. আসলে গোসল শেষে সারা গায়ে ৩ বার পানি ঢালা সুন্নাত ..*)
---------------- ফরজ গোসলের মুস্তাহাবসমূহ হলো-
১. উচু স্থানে বসে গোসল করা যাতে পনি গড়িয়ে যায় ও গায়ে ছিটা না লাগে।
২. পানির অপচয় না করা।
৩. বসে বসে গোসল করা।
৪. লোক সমাগমের স্থানে গোসল না করা।
৫. পাক জায়গায় গোসল করা।
৬. ডান দিক থেকে গোসল শুরু করা।
---------------------- ফরজ গোসলের সঠিক-শুদ্ধ নিয়ম-পদ্ধতি
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়ত করাতেই হবে এমনটা ভাবা বা জরুরি মনে করা বিদআত।
২. প্রথমে দুই হাতে কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুয়ে নেওয়া।
৩. এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করা এবং শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুয়ে পরিস্কার করা।
৪. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলা।
৫. এরপর অজু করতে হবে তবে দুই পা ধোয়া যাবে না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এরপর সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে হবে।
---------------------- বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে
১. ফরজ গোসলে পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
মূল : মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন (রহ.)
ভাষান্তর : মাওলানা মিরাজ রহমান
যুক্ত (* পেজ লেখক*)আ
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন