ধর্ম ও যুক্তি "দ্রুত শেভ কর" রহস্য (কে সেই শিক্ষক?)
ধর্ম ও যুক্তি "দ্রুত শেভ কর" রহস্য
---------------------------------------------
মেয়েদের কেন সুন্দর লাগে? কেন সবাই তাদের দিকে চেয়ে থাকে??
এরকম প্রশ্ন নিজেই করে নিজেই কি এমন উত্তর আবিষ্কার করে যে "তাদের মুখে চুল (দাড়ি) নাই এজন্য, আর ছেলেদের ও সুন্দর দেখাতে শেভ করতে হবে। তাও নিয়মিত, প্রতিদিন!
বাঙালী দের হটাত এটা কে শিখালো? কে এই ভুতুড়ে জ্ঞানের শিক্ষক?
আচ্ছা মেনে নিলাম ১ মিনিটের জন্য, কিন্তু শুধু মুখ লোমশুন্য থাকা নয়, মেয়েদের মাথায় লম্বা কোমর পর্যন্ত চুল হয় সেজন্য সুন্দর দেখায় একথা সবাই জানে। তাহলে কেন শেভার চ্যাম্পিয়ন রা মাথায় কোমর অবধি চুল রাখেনা? মেয়ে হবে তো হাফ কেন, পুর্ণ আকারে হোক!
এইসব শেভার প্রতিযোগী দের মুখে খোঁচা দাড়ি (২-৩ দিন না কাটা) দেখলে ইচ্ছা করে কানের কাছে গিয়ে বলি "যাও ভাই, দ্রুত শেভ করো, নয়তো ছেলে মনে হচ্ছে, মানুষ বুঝে ফেলচে, দাম কমে যাচ্ছে!". আসলেই কোন কারণ কেউ জানেনা যে কেন সে এত গুরুত্ব দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত শেভ করে এমন ভাবে যেন তা খাবার গ্রহন, বা বর্জনের মত কোন অতি জরুরী বিষয়। কেন? কে শিখালো? কে সেই শিক্ষক?!!
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মেয়ে ও ছেলের হরমোনগত পার্থক্যের জন্য দাড়ি ওঠে, আবার তা রক্ষণের জন্যও দাড়ি থাকা বা না থাকার দরকার হয়। আমরা তা জানিনা বুঝিওনা, কুইক শেভ, রেগুলার শেভ!!!!
ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহর দেওয়া সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা বা বিকৃত করা মহা অন্যায়, আর ইসলাম ধর্ম পুর্ণ ধর্ম এজন্য যে মানব জীবনের আখেরাতসহ দুনিয়াবি সকল কাজ খুঁটিনাটি দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সে অনুযায়ী শরীরে মুখে দাড়ি রাখতে আদেশ দেয়া হয়েছে, আর কোথায় ক্লিয়ার ক্লিন রাখতে হবে তাও বলা হয়েছে। আর বাঙালি - উলটা করে। যেখানে কড়া ভাবে আদেশ করা হয়েছে ক্লিন করতে, সেখানে খোজ নাই। যেখানে কড়া ভাবে নিষেধ করা হয়েছে ক্লিন করতে সেখানে নিয়মিত ক্লিন। এর শিক্ষক কে?
যদি দেশে ফেরাউন থাকত আর বলতো - "হিন্দু কি মুসলিম কি বৌদ্ধ তা দেখা হবেনা- মুখে দাড়ি দেখকেই ধরো, জেল দাও হত্যা কর"...... তাহলে একটা মাসায়েল আসতো যে প্রাণ রক্ষার্থে যা কিছু করছে ........ কিন্তু তা কখনওই নয়।
শেভ করে ভালো চাকরী পেতে? অসম্ভব কল্পনা! আমার দেখা কত মানুষ আছে তাদের হয়নি। তাহলে শেভ করে ভালো বউ পেতে? অবাস্তব! ভালোর সংগাটা কি? "জানিনা নিজের কাছে যা ভালো মনে হয় সেটাই ভালো"? শেভ করতে করতে হটাত গোফ রাখে, তখন সে কি বলতে চায় তা আল্লাহই ভালো জানেন।
শেভার রা অনেক যুক্তিই দেখায়, কেউ এই কাজ করে পরীক্ষায় ও ভাইভা তেও নাকি ভালো (৫ বেশি) নম্বর পায় বলে দাবি করে,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বলে ৫ নম্বর! হাস্যকর নয় কি?
আবার কেউ বলে "মতানৈক্য আছে" কার ও কোথায় আছে তা বলেনা। আমার জানা মতে সহীহ ১০ এরও বেশি হাদীস ও সকল ইমাম মুফতি দের ঐক্যমত অনুসারে দাড়ি রাখতে হবে কোন দ্বিমত নাই। হা একমুষ্টি পর্যন্তই রেখে বাকিটা কাটতে হবে,নাকি যতদুর লম্বা হতে পারে ততদুর রাখতে হবে এটা নিয়ে দুটি মত আছে বা ভিন্ন মত আছে। সেজন্য দাড়িই রাখা যাবেনা এটা কোন কথা?
আর যদি কেউ ভেবে থাকেন "সুন্নাত মানার কি দরকার, অনেক সুন্নাত ফরজও চলে যায়!" তাহলে ২ টা ভুল।
১. সুন্নাতকে অবমাননার জন্য ইমান হারা হলেন (আর দরকার নেই বললে কুফুরী করে কাফের হলো)
২. দাড়ি রাখা যেহেতু আদেশ তাই এটা সাধারণ সুন্নাত নয় এটা ওয়াজিব সুন্নাত। একে কালচারাল সুন্নাত বলে হুকুম পরিবর্তন করার চেষ্টা করে বড় অপরাধ করেছেন।।
== এই সকল ক্ষেত্রে তাওবা করা উচিৎ, তাওবা করলে আল্লাহ মাফ করে দেন। অবশ্যই নিজে তাওবা করা ও ক্ষমা চাওয়া সঠিক। অন্যের মাধ্যমে চেয়ে নয়,আর অন্যের মাধ্যম মধ্যস্থতা শিরক।
আল্লাহই জানার, বুঝার,ও মানার তাওফিক দানের মালিক।
---------------------------------------------
মেয়েদের কেন সুন্দর লাগে? কেন সবাই তাদের দিকে চেয়ে থাকে??
এরকম প্রশ্ন নিজেই করে নিজেই কি এমন উত্তর আবিষ্কার করে যে "তাদের মুখে চুল (দাড়ি) নাই এজন্য, আর ছেলেদের ও সুন্দর দেখাতে শেভ করতে হবে। তাও নিয়মিত, প্রতিদিন!
বাঙালী দের হটাত এটা কে শিখালো? কে এই ভুতুড়ে জ্ঞানের শিক্ষক?
আচ্ছা মেনে নিলাম ১ মিনিটের জন্য, কিন্তু শুধু মুখ লোমশুন্য থাকা নয়, মেয়েদের মাথায় লম্বা কোমর পর্যন্ত চুল হয় সেজন্য সুন্দর দেখায় একথা সবাই জানে। তাহলে কেন শেভার চ্যাম্পিয়ন রা মাথায় কোমর অবধি চুল রাখেনা? মেয়ে হবে তো হাফ কেন, পুর্ণ আকারে হোক!
এইসব শেভার প্রতিযোগী দের মুখে খোঁচা দাড়ি (২-৩ দিন না কাটা) দেখলে ইচ্ছা করে কানের কাছে গিয়ে বলি "যাও ভাই, দ্রুত শেভ করো, নয়তো ছেলে মনে হচ্ছে, মানুষ বুঝে ফেলচে, দাম কমে যাচ্ছে!". আসলেই কোন কারণ কেউ জানেনা যে কেন সে এত গুরুত্ব দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত শেভ করে এমন ভাবে যেন তা খাবার গ্রহন, বা বর্জনের মত কোন অতি জরুরী বিষয়। কেন? কে শিখালো? কে সেই শিক্ষক?!!
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে মেয়ে ও ছেলের হরমোনগত পার্থক্যের জন্য দাড়ি ওঠে, আবার তা রক্ষণের জন্যও দাড়ি থাকা বা না থাকার দরকার হয়। আমরা তা জানিনা বুঝিওনা, কুইক শেভ, রেগুলার শেভ!!!!
ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহর দেওয়া সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা বা বিকৃত করা মহা অন্যায়, আর ইসলাম ধর্ম পুর্ণ ধর্ম এজন্য যে মানব জীবনের আখেরাতসহ দুনিয়াবি সকল কাজ খুঁটিনাটি দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সে অনুযায়ী শরীরে মুখে দাড়ি রাখতে আদেশ দেয়া হয়েছে, আর কোথায় ক্লিয়ার ক্লিন রাখতে হবে তাও বলা হয়েছে। আর বাঙালি - উলটা করে। যেখানে কড়া ভাবে আদেশ করা হয়েছে ক্লিন করতে, সেখানে খোজ নাই। যেখানে কড়া ভাবে নিষেধ করা হয়েছে ক্লিন করতে সেখানে নিয়মিত ক্লিন। এর শিক্ষক কে?
যদি দেশে ফেরাউন থাকত আর বলতো - "হিন্দু কি মুসলিম কি বৌদ্ধ তা দেখা হবেনা- মুখে দাড়ি দেখকেই ধরো, জেল দাও হত্যা কর"...... তাহলে একটা মাসায়েল আসতো যে প্রাণ রক্ষার্থে যা কিছু করছে ........ কিন্তু তা কখনওই নয়।
শেভ করে ভালো চাকরী পেতে? অসম্ভব কল্পনা! আমার দেখা কত মানুষ আছে তাদের হয়নি। তাহলে শেভ করে ভালো বউ পেতে? অবাস্তব! ভালোর সংগাটা কি? "জানিনা নিজের কাছে যা ভালো মনে হয় সেটাই ভালো"? শেভ করতে করতে হটাত গোফ রাখে, তখন সে কি বলতে চায় তা আল্লাহই ভালো জানেন।
শেভার রা অনেক যুক্তিই দেখায়, কেউ এই কাজ করে পরীক্ষায় ও ভাইভা তেও নাকি ভালো (৫ বেশি) নম্বর পায় বলে দাবি করে,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বলে ৫ নম্বর! হাস্যকর নয় কি?
আবার কেউ বলে "মতানৈক্য আছে" কার ও কোথায় আছে তা বলেনা। আমার জানা মতে সহীহ ১০ এরও বেশি হাদীস ও সকল ইমাম মুফতি দের ঐক্যমত অনুসারে দাড়ি রাখতে হবে কোন দ্বিমত নাই। হা একমুষ্টি পর্যন্তই রেখে বাকিটা কাটতে হবে,নাকি যতদুর লম্বা হতে পারে ততদুর রাখতে হবে এটা নিয়ে দুটি মত আছে বা ভিন্ন মত আছে। সেজন্য দাড়িই রাখা যাবেনা এটা কোন কথা?
আর যদি কেউ ভেবে থাকেন "সুন্নাত মানার কি দরকার, অনেক সুন্নাত ফরজও চলে যায়!" তাহলে ২ টা ভুল।
১. সুন্নাতকে অবমাননার জন্য ইমান হারা হলেন (আর দরকার নেই বললে কুফুরী করে কাফের হলো)
২. দাড়ি রাখা যেহেতু আদেশ তাই এটা সাধারণ সুন্নাত নয় এটা ওয়াজিব সুন্নাত। একে কালচারাল সুন্নাত বলে হুকুম পরিবর্তন করার চেষ্টা করে বড় অপরাধ করেছেন।।
== এই সকল ক্ষেত্রে তাওবা করা উচিৎ, তাওবা করলে আল্লাহ মাফ করে দেন। অবশ্যই নিজে তাওবা করা ও ক্ষমা চাওয়া সঠিক। অন্যের মাধ্যমে চেয়ে নয়,আর অন্যের মাধ্যম মধ্যস্থতা শিরক।
আল্লাহই জানার, বুঝার,ও মানার তাওফিক দানের মালিক।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন