দ্বীনি বিষয়ে ধোঁজাবাজী থেকে বাচুন!! অপরকে বাঁচান!
দ্বীন (ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে) কেন ধোঁকাবাজির স্বীকার হতে যাবেন?
----------------------------------------------- -------
যখনই দেখবেন কেউ এরকম মেসেজ বা লিফলেট দিয়েছে তখনই তার প্রতিবাদ করে সত্যটা জানিয়ে দিবেন।
"আল্লাহ, রহমান, রহিম, মালিক, সালাম, মুমিন, মুহাইমিন, আজিজ.... আল্লাহর এই ১০ টি নাম ২০ জন কে সেন্ড করো, কাল সকালের মধ্যে একটা সুসংবাদ পাবে"
যারা এজাতীয় তথ্য ছড়ায় তারা আল্লাহর নামে মিথ্যা প্রচারের দায়ে দায়ী থাকববে আর ঐ তথ্য বিশ্বাস করা, কাজ করা শিরক। কারণ:
★ ভালো বা মন্দ খবর আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, শুধু আল্লাহর অনুমতিতে আসে। তাই এগুলো গায়েবী। আর গায়েবী খবর জানার একমাত্র পথ কুরআন অথবা হাদীস। কারন তাতেই আছে আসমানি বা গায়েবী খবর। শুধু তাতেই পাওয়া সম্ভব যে, কোনটা করলে ভালো খবর আসে আর কোনটা করলে খারাপ খবর আসে। সূরা হুদ এর ৬ নং আয়াতে এসেছে "সুস্পষ্ট এই কিতাবে সবই আছে"
★ যেখানে সবই আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আসতে পারেনা, তা কি মানুষ নিজ ইচ্ছায়, আল্লাহর কাছ থেকে জোর করে আনতে চায়?? (নাউজুবিল্লাহহ)
★ শিরক হলো আল্লাহর সাথে অন্য যে কাউকে কোনভাবে অংশী করা। গায়েবী যে কথা গুলো আল্লাহ কুরআনে বলেননি, বা হাদীসে রাসুল (স,) বলেননি তা মনে ধারন করার (বিশ্বাস করার) নামই শিরক। অর্থাৎ যা তোমার আল্লাহর কথায় বিশ্বাস করার কথা ছিলো, তা অন্যের কথায় বিশ্বাস করেছ। এতে আল্লাহর সাথে শরীক (অংশীদার) করা হলো।
★ আল্লাহ কখনো কিছু বলতে ভুলে যান না - এটা কুরানের কথা। তবে কি তিনি অই আমলের কথা বলতে ভুলে গেছলেন নাকি যা তারা মেসেজে দিয়ে বেড়াচ্ছে? (নাউজুবিল্লাহ)
★ বলতে পারেন - আল্লাহর নাম মানুষদের দেবো এতে খারাপ কি আছে?
হা খুব ভালো কাজ, নিজে পড়া অন্যকে পাঠানো। কিন্তু ২০ জন কে বা ৩০ জনকে নির্দিষ্ট সংখ্যায় দিতে হবে এমন একটা অজ্ঞতা, আর তা দিলে কোন ভালো খবর, না দিলে কোন খারাপ খবর, আবার সকালের মধ্যে, ৩ দিনের মধ্যে ইত্যাদি সব ইমান-হীনতার পরিচয়। ।
★ শিরক এমন এক পাপ যা সমস্ত ইমান ও ভালো কাজকে ধংস করে দেয়। অনেকে না শুনে, না জেনে এগুলো কেউ মেসেজে, কেউ প্রিন্ট করে হাতে হাতে বিলি করে।
★ শিরক ভালো কাজকে কিভাবে খারাপ করে? উত্তর:
নামাজ ভালো, কুরআন ভালো কিন্তু এগুলো পড়ার পর যদি এমন কিছু কর যা আল্লাহ বলেননি
*(যেমন: ২০ জনকে কুরআন পড়ালে কাল সকালের মধ্যে ভালো খবর পাবে) এমন আন্দাজে কিছু বিশ্বাস করা টাও পাপ, তা কাজে পরিনত করাও পাপ হবে।
★ প্রথমে বলেছি সব ভবিষ্যৎ গায়েবী (অদৃশ্য) বিষয়। যা কুরআন ও হাদীসে পাওয়া সম্ভব। আর কুরআন হাদীসের জ্ঞান কোথায় পাওয়া যায়? উত্তর: মুফতি, মুহাদ্দিস, আলেমগনের কাছে।
তারা যে মেসেজ দিয়ে বেড়াচ্ছে, ১৯ জনকে, ৩০ জনকে ইত্যাদি, তা দেওয়াই আগে কি তাদের কারো কাছে জিজ্ঞাসা করেছে?
কুরআন পাকে আল্লাহর নির্দেশনা আছে: فسالوا اهل الذكر ان كنتم لا تعلمون""যদি তোমরা না জানো তবে যারা জানে তাদের কাছ থেকে জেনে নাও"
★ আরোও বড় সমস্যা হলো, সেইরকম ইমান যার (যেরকম ইমানে এগুলা করে) তারা ভালো সংবাদ যদি না পায় সকালে, তবে আল্লাহর এই নাম গুলাকে ও কি বলবে বুঝতে পারছেন? না বুঝলে বলুন কমেন্টে বুঝিয়ে বলবো ইনশাআল্লাহ!!
=============================
তাহলে এখন কি করা? উপায় কি?
----------------------------------------------------------
উত্তর: তাওবা করতে হবে। তাওবার উপায় কি?
তাওবার জন্য এখন কাজ ৩ টি।
১. যাদের কাছে ভুল কথা পাঠিয়েছে তাদের কাছে সঠিক কথা পাঠানো। আর কেউ ওইরকম মেসেজ দিলে তাকেও সত্যটা বলা।.
২. আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ও তার পথে ফিরে আসা। যেমন: নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, কুরআন পড়া ইত্যাদি।
৩. ভবিষ্যৎ এ সবসময় আল্লাহর পথে থাকার ও আর অই পাপ না করার প্রতিজ্ঞা করা।
-------------------------------
* জীবনে হাজার বার পাপ করলে ১বার সব পাপের জন্য তওবা করা যায়। আবার তাওবার পর আবার পাপ করলে আবার তাওবা করা যায়। আবার ভুল করলে আবার তাওবা।
*তাওবা করলে সব পাপ মাফ হয়ে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে যায়। অনেক পাপ, বড় পাপ ইত্যাদি চিন্তার কারণ নেই।
* তবে তাওবার বদলে অগ্রাহ্য, তাওবা না করা, পাপ চালিয়ে যাওয়া, আল্লাহর পথে না আসা - ক্ষমা না পাবার লক্ষণ।
আল্লাহ তাওফিক দিন। আমীন।
==========================================
তো জানলেন, কোন সংশোধনী, মতামত, পরামর্শ থাকলে অবশ্য ই কমেন্টে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
----------------------------------------------- -------
যখনই দেখবেন কেউ এরকম মেসেজ বা লিফলেট দিয়েছে তখনই তার প্রতিবাদ করে সত্যটা জানিয়ে দিবেন।
"আল্লাহ, রহমান, রহিম, মালিক, সালাম, মুমিন, মুহাইমিন, আজিজ.... আল্লাহর এই ১০ টি নাম ২০ জন কে সেন্ড করো, কাল সকালের মধ্যে একটা সুসংবাদ পাবে"
যারা এজাতীয় তথ্য ছড়ায় তারা আল্লাহর নামে মিথ্যা প্রচারের দায়ে দায়ী থাকববে আর ঐ তথ্য বিশ্বাস করা, কাজ করা শিরক। কারণ:
★ ভালো বা মন্দ খবর আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, শুধু আল্লাহর অনুমতিতে আসে। তাই এগুলো গায়েবী। আর গায়েবী খবর জানার একমাত্র পথ কুরআন অথবা হাদীস। কারন তাতেই আছে আসমানি বা গায়েবী খবর। শুধু তাতেই পাওয়া সম্ভব যে, কোনটা করলে ভালো খবর আসে আর কোনটা করলে খারাপ খবর আসে। সূরা হুদ এর ৬ নং আয়াতে এসেছে "সুস্পষ্ট এই কিতাবে সবই আছে"
★ যেখানে সবই আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আসতে পারেনা, তা কি মানুষ নিজ ইচ্ছায়, আল্লাহর কাছ থেকে জোর করে আনতে চায়?? (নাউজুবিল্লাহহ)
★ শিরক হলো আল্লাহর সাথে অন্য যে কাউকে কোনভাবে অংশী করা। গায়েবী যে কথা গুলো আল্লাহ কুরআনে বলেননি, বা হাদীসে রাসুল (স,) বলেননি তা মনে ধারন করার (বিশ্বাস করার) নামই শিরক। অর্থাৎ যা তোমার আল্লাহর কথায় বিশ্বাস করার কথা ছিলো, তা অন্যের কথায় বিশ্বাস করেছ। এতে আল্লাহর সাথে শরীক (অংশীদার) করা হলো।
★ আল্লাহ কখনো কিছু বলতে ভুলে যান না - এটা কুরানের কথা। তবে কি তিনি অই আমলের কথা বলতে ভুলে গেছলেন নাকি যা তারা মেসেজে দিয়ে বেড়াচ্ছে? (নাউজুবিল্লাহ)
★ বলতে পারেন - আল্লাহর নাম মানুষদের দেবো এতে খারাপ কি আছে?
হা খুব ভালো কাজ, নিজে পড়া অন্যকে পাঠানো। কিন্তু ২০ জন কে বা ৩০ জনকে নির্দিষ্ট সংখ্যায় দিতে হবে এমন একটা অজ্ঞতা, আর তা দিলে কোন ভালো খবর, না দিলে কোন খারাপ খবর, আবার সকালের মধ্যে, ৩ দিনের মধ্যে ইত্যাদি সব ইমান-হীনতার পরিচয়। ।
★ শিরক এমন এক পাপ যা সমস্ত ইমান ও ভালো কাজকে ধংস করে দেয়। অনেকে না শুনে, না জেনে এগুলো কেউ মেসেজে, কেউ প্রিন্ট করে হাতে হাতে বিলি করে।
★ শিরক ভালো কাজকে কিভাবে খারাপ করে? উত্তর:
নামাজ ভালো, কুরআন ভালো কিন্তু এগুলো পড়ার পর যদি এমন কিছু কর যা আল্লাহ বলেননি
*(যেমন: ২০ জনকে কুরআন পড়ালে কাল সকালের মধ্যে ভালো খবর পাবে) এমন আন্দাজে কিছু বিশ্বাস করা টাও পাপ, তা কাজে পরিনত করাও পাপ হবে।
★ প্রথমে বলেছি সব ভবিষ্যৎ গায়েবী (অদৃশ্য) বিষয়। যা কুরআন ও হাদীসে পাওয়া সম্ভব। আর কুরআন হাদীসের জ্ঞান কোথায় পাওয়া যায়? উত্তর: মুফতি, মুহাদ্দিস, আলেমগনের কাছে।
তারা যে মেসেজ দিয়ে বেড়াচ্ছে, ১৯ জনকে, ৩০ জনকে ইত্যাদি, তা দেওয়াই আগে কি তাদের কারো কাছে জিজ্ঞাসা করেছে?
কুরআন পাকে আল্লাহর নির্দেশনা আছে: فسالوا اهل الذكر ان كنتم لا تعلمون""যদি তোমরা না জানো তবে যারা জানে তাদের কাছ থেকে জেনে নাও"
★ আরোও বড় সমস্যা হলো, সেইরকম ইমান যার (যেরকম ইমানে এগুলা করে) তারা ভালো সংবাদ যদি না পায় সকালে, তবে আল্লাহর এই নাম গুলাকে ও কি বলবে বুঝতে পারছেন? না বুঝলে বলুন কমেন্টে বুঝিয়ে বলবো ইনশাআল্লাহ!!
=============================
তাহলে এখন কি করা? উপায় কি?
----------------------------------------------------------
উত্তর: তাওবা করতে হবে। তাওবার উপায় কি?
তাওবার জন্য এখন কাজ ৩ টি।
১. যাদের কাছে ভুল কথা পাঠিয়েছে তাদের কাছে সঠিক কথা পাঠানো। আর কেউ ওইরকম মেসেজ দিলে তাকেও সত্যটা বলা।.
২. আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া ও তার পথে ফিরে আসা। যেমন: নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা, কুরআন পড়া ইত্যাদি।
৩. ভবিষ্যৎ এ সবসময় আল্লাহর পথে থাকার ও আর অই পাপ না করার প্রতিজ্ঞা করা।
-------------------------------
* জীবনে হাজার বার পাপ করলে ১বার সব পাপের জন্য তওবা করা যায়। আবার তাওবার পর আবার পাপ করলে আবার তাওবা করা যায়। আবার ভুল করলে আবার তাওবা।
*তাওবা করলে সব পাপ মাফ হয়ে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে যায়। অনেক পাপ, বড় পাপ ইত্যাদি চিন্তার কারণ নেই।
* তবে তাওবার বদলে অগ্রাহ্য, তাওবা না করা, পাপ চালিয়ে যাওয়া, আল্লাহর পথে না আসা - ক্ষমা না পাবার লক্ষণ।
আল্লাহ তাওফিক দিন। আমীন।
==========================================
তো জানলেন, কোন সংশোধনী, মতামত, পরামর্শ থাকলে অবশ্য ই কমেন্টে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন