কুরআনের কোথায় নামাজের ব্যাপারে লেখা আছে?
- জীবন বিধান আল কুরআনে সূরা আসর, নাসর, কাউসার
সহ মোট ৮২ জায়গাতে স্পষ্ঠভাবে নামাজের কথা বলা হয়েছে, আরও অন্যান্য যায়গাতে ইংগিতে আছে, তা শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে নয়, সামাজিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক রক্ষায় নামাজ এর বিকল্প নাই | যে ব্যক্তির নামাজে গোলযোগ আছে সমাজে তার সাথে অন্যের কোন না কোন ভাবে গোলযোগ লাগবেই এটা নিশ্চিত | নামাজ আদায় যথেষ্ঠ নয়, নামাজ প্রতিষ্ঠা করতে আদেশ করা হয়েছে | আমরা সবাই আল্লাহর দাস এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার অতি সম্মানিত প্রতিনিধি, আল্লাহ আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েই পাঠিয়েছেন | সুরা বাকারাহ ২৩ নং আয়াতে ঘোষণা:
“আমি দুনিয়াতে প্রতিনিধি প্রেরণ করবো”
আর প্রতিনিধিকে প্রথম কাজ দিয়েছেন তার ইবাদত করার, তার প্রশ্রংসা করার, আর এগুলোর প্রধান উপায় নামাজ: শুধু নিজে নামাজ আদায় নয়, প্রতিনিধি হিসেবে তা
অপরের কাছে পৌছে দেয়া কর্তব্য | আল্লাহ পাক বলছেন “তুমি মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকো ধৈর্য্য ও প্রজ্ঞার সাথে” ….. আপনার ভাই যদি পানিতে ডুবে যেতে থাকে তবে আপনি নিশ্চয়ই ঘরে বসে থাকতে পারেন না….. তাই বন্থুকে নামাজের দাওয়াত দিন, বন্ধুত্বের বিনিময়ে জাহান্নাম কিনবেন না
| সুরা তাওবার ৩৭ নং আয়াতে আল্লাহর নির্দেশঃ
“কাফের ও মুনাফিকদের প্রতি কঠোর হোন”
হাদিসে এসেছে কাফির ও মুনাফিক এর পরিচয়ঃ “মুসলিম
ও কাফির এর মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ”
তাকে বলুন .”আল্লাহ কাউকে সাধ্যাতীত কার্যভার চাপিয়ে দেন না”বাকারা: ১৯৩.
মনে রাখবেনঃ “তার চাইতে বড় জালিম আর কে যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে ও যখন তার কাছে সত্য আসে তখন তা প্রত্যাখান করে? এদের জন্যই কি জাহান্নাম উপযুক্ত নয়?” সুরা ঝুমার: ৩২
# আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন,
নিচে নামাজ বিষয়ে কয়েকটি সূরা ও আয়াত নং দেয়া
হলো ..
সুরাহ নাম – আয়াত
বাক্বারা – ৩ , ৪
আলে ইমরান – ৪৩
নিসা – ৪৩, ১০৩, ১০৯
মায়েদাহ – ৫৫, ৫৮
আনআম – ৭২
আনফাল – ৩
তাওবা – ১১
হুদ – ১১৪
বণী ঈসরাঈল – ৭৮
আনকাবুত – ৪৫
আরাফ – ২৯, ৩০
মুজ্জাম্মিল – ২০
আলা – ১৫
মাঊন – ৪, ৫, ৬
কাউসার – ২
——————————— ইত্যাদি।
আমাদের দেশে কম মূল্যে অর্থানুবাদ সহ অনেক কুরআন পাওয়া যায়, কিনে নিন, কুরআন একটি অলৌকিক শক্তি .. কুরআন পড়ুন নামাজ পড়ুন, জীবন বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ ..
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন