ঈমান যাচাই
আজ আমি ঈমান কে একটি ভিন্ন আঙ্গীকে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো যাতে বুঝতে পারি ঈমান আসলে ঠিক আছে কিনা? যদি সমস্যা খুঁজে পাই তবে তা সমাধানের সুযোগ পাবো |
ঈমান হলো মুসলিমের আইডি কার্ড | যার কোন ইমান নেই সে নাস্তিক | ঈমান আরবী শব্দ, অর্থ বিশ্বাস | শরিয়তের পরিভাষায় ঈমান অর্থ কতিপয় বিষয়ের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা ও সে বিশ্বাসের প্রমান বহন করার নাম ঈমান |
খুব ভালো করে খেয়াল করুন | আল্লাহ তায়ালা বলেছেন "তারা মুখে ঈমানের দাবি করে কিন্তু তারা ঈমানদার নয়" (সুরাতুল বাকারাহ)
এটা তিনি কাদেরকে বলেছেন ও কেন বলেছেন আসুন নিচে লেখা থেকে খুঁজে দেখি |
এটা আমরা অনেকে জানি যে, ৭ টি বিষয়ের উপর ঈমান আনা জরুরী | আমরা হয়তো মুখে খুব সহজে বলে দিই হা আমরা ইমান রাখি বা বিশ্বাস করি | কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের বুঝে আসেনা আমরা কি বলছি ও কি করছি | আসুন সংক্ষেপে একবার চোখ বুলিয়ে নিই |
১. আল্লাহর উপর ইমান: যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান রাখে সে কখনো নামাজ, রোজা সহ কোন ঈবাদত বন্দেগীর কাজগুলো বাদ দিতে পারেনা | অর্থাৎ, ঠিকমত নামাজ আদায় হলো তার আল্লাহর প্রতি ঈমান আছে একথার প্রমান |
২. ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান | এটি ঈমানের ২য় শাখা | যে ব্যক্তি ফেরেশতা দের প্রতি ঈমান রাখে সে কখনো প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে খারাপ কাজ বা খারাপ কথা বলতে পারেনা | কারণ সে আসলেই বিশ্বাস করে ফেরেশতারা তা লিখে রাখছে |
৩. আসমানী কিতাব সমুহের প্রতি ঈমান: আসমানী কিতাব হলো মানব জাতীর হেদায়েতের জন্য নবী ও রাসুল গণের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত একটা গাইড বা সমাধান, একটা মেড ইজি| যা মোট ১০৪ খানা ৷
যে ব্যক্তি এই কিতাব সমুহের প্রতি ইমান রাখে সে কখনো আল্লাহর আইন কুরআন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরী করা আইন অনুযায়ী চলার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা | কতজন আমরা কুরআন পড়তে পারিনা, পড়তে চেষ্টাও করিনা | আহারে , টাকায় দাম তো বেশি না একখান কিতাবের, পড়বোনা আবার বলবো বিশ্বাস করি, কিভাবে ? কোথাকার উপন্যাস ও কল্পিত গল্প নিয়ে ৰসে থাকি আমরা ৷
৪. নবী রাসুলদের উপর ঈমান: যে ব্যক্তি নবী রাসুলদের উপর বিশ্বাস রাখে, যে ব্যক্তি দাবি করে যে সে এক রাসুল (সঃ) এর উম্মত, সে কখনো রাসুলদের দেখানো অনুষ্ঠান ও সুন্নাত বাদ দিয়ে বিদেশী কাফেরদের অনুষ্ঠান পালন করতে পারেনা | যেমনঃ New year, valentine day, marry day, birthday, এই ডে সেই ডে আরো কত কি!
৫. আখেরাত দিবসের প্রতি ঈমান: যে ব্যক্তি আখেরাত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে কখনো মিথ্যা বলেনা, কাউকে ধোঁকা দেয়না, পরের হক মেরে খায়না, ওজনে কম দেয়না খাদ্যে ভেজাল মেশায়না | কারণ সে প্রকৃত ইমান রাখে যে কেয়ামতের দিন তাকে হিসাব দিতে গিয়ে আটকে যেতে হবে ৷
৬. তাকদীর বা ভাগ্যের প্রতি ঈমান: যে ব্যক্তি ভাগ্যের প্রতি ইমান রাখে সে কখনো অতীত নিয়ে আফসোস করেনা, এটা না করে এটা করলে ব্যাপক ভাল হতো বলেনা, সে ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত হয়না, কি করবে ও কি হবে ইত্যাদি ভাবেনা | হা একটা পরিকল্পনা থাকা চাই, তবে পরিকল্পনা তে তো আর যা বলেছি ওই রকম দুশ্চিন্তা থাকেনা | ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা আর পরিকল্পনা এক নয় | আর সে ব্যক্তি সদা বিশ্বাস রাখে যে তার ভাল মন্দ সব আল্লাহর হাতে, দুনিয়ার কোন পীর ফু দিয়ে তা পরিবর্তন করতে পারেনা | এর নাম ভাগ্যের উপর প্রকৃত ইমান |
৭. মৃত্যূর পর পুনরুত্থান: কিছু পাবলিক আছে যারা যেটা দেখেনা তা বিশ্বাস করেনা| তাদের বলবেন তোমার দেহে প্রাণ আছে? মাথায় মগজ আছে? তা তো দেখা যায়না তাহলে কেন বিশ্বাস করো? তাৱা আৰাৱ internet চালায়, ইথার বিশ্বাস করে ৷ যা হউক, তাদের এড়িয়ে চলা ভাল | কুরআনুল কারীমে হাজারবার বলা হয়েছেঃ মৃত্যুর পর তোমাদের অবশ্যই উঠানো হবে | যেমন সুরা ত্ব-হা এর ৫৫ নং আয়াত | যারা এ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে তারা প্রতিটি পদক্ষেপ হিসাব করে ফেলে যাতে কারো দাবির কাছে ফেঁসে না যায় ও হালাল পথে জীবিকা নির্বাহ করে |
অতএব আমরা এখন সহজে বুঝতে পারবো যে, কে মুখেই ঈমানের দাবি করে আর কে প্রকৃত ঈমান রাখে? আশা করি এই লেখা থেকে আমরা আমাদের ভুল গুলো সংশোধন করার প্রয়াস পাবো, আসুন আমরা আমাদের ঈমান ফিরিয়ে আনি | ফিরিয়ে আনি সেই সুশীতল সোনালী সমাজ | আজ দুনিয়ার বুকে মুসলিমরা রাজ্য হারিয়েছে নির্যাতিত হচ্ছে কারণ একটাই, তা হলো আমরা ইমান হারিয়েছি | ইমান কিভাবে আনবেন?
রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ ইমানের বৈশিষ্ঠ ৩ টি |
১. অন্তরে বিশ্বাস করা |
২. মুখে স্বীকার করা |
৩. কাজে পরিণত করা |
এই ৩ টি ৰৈশিষ্ঠ একত্র হতে হৰে ৷
[বুখারী ও মুসলিম]
***********************************
লেখা-
মো: খালিদ সাইফুল্লাহ
আইন ৰিভাগ
ই·ৰি· কুষ্টিয়া ৷
ঈমান হলো মুসলিমের আইডি কার্ড | যার কোন ইমান নেই সে নাস্তিক | ঈমান আরবী শব্দ, অর্থ বিশ্বাস | শরিয়তের পরিভাষায় ঈমান অর্থ কতিপয় বিষয়ের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা ও সে বিশ্বাসের প্রমান বহন করার নাম ঈমান |
খুব ভালো করে খেয়াল করুন | আল্লাহ তায়ালা বলেছেন "তারা মুখে ঈমানের দাবি করে কিন্তু তারা ঈমানদার নয়" (সুরাতুল বাকারাহ)
এটা তিনি কাদেরকে বলেছেন ও কেন বলেছেন আসুন নিচে লেখা থেকে খুঁজে দেখি |
এটা আমরা অনেকে জানি যে, ৭ টি বিষয়ের উপর ঈমান আনা জরুরী | আমরা হয়তো মুখে খুব সহজে বলে দিই হা আমরা ইমান রাখি বা বিশ্বাস করি | কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের বুঝে আসেনা আমরা কি বলছি ও কি করছি | আসুন সংক্ষেপে একবার চোখ বুলিয়ে নিই |
১. আল্লাহর উপর ইমান: যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান রাখে সে কখনো নামাজ, রোজা সহ কোন ঈবাদত বন্দেগীর কাজগুলো বাদ দিতে পারেনা | অর্থাৎ, ঠিকমত নামাজ আদায় হলো তার আল্লাহর প্রতি ঈমান আছে একথার প্রমান |
২. ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান | এটি ঈমানের ২য় শাখা | যে ব্যক্তি ফেরেশতা দের প্রতি ঈমান রাখে সে কখনো প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে খারাপ কাজ বা খারাপ কথা বলতে পারেনা | কারণ সে আসলেই বিশ্বাস করে ফেরেশতারা তা লিখে রাখছে |
৩. আসমানী কিতাব সমুহের প্রতি ঈমান: আসমানী কিতাব হলো মানব জাতীর হেদায়েতের জন্য নবী ও রাসুল গণের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত একটা গাইড বা সমাধান, একটা মেড ইজি| যা মোট ১০৪ খানা ৷
যে ব্যক্তি এই কিতাব সমুহের প্রতি ইমান রাখে সে কখনো আল্লাহর আইন কুরআন বাদ দিয়ে মানুষের তৈরী করা আইন অনুযায়ী চলার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা | কতজন আমরা কুরআন পড়তে পারিনা, পড়তে চেষ্টাও করিনা | আহারে , টাকায় দাম তো বেশি না একখান কিতাবের, পড়বোনা আবার বলবো বিশ্বাস করি, কিভাবে ? কোথাকার উপন্যাস ও কল্পিত গল্প নিয়ে ৰসে থাকি আমরা ৷
৪. নবী রাসুলদের উপর ঈমান: যে ব্যক্তি নবী রাসুলদের উপর বিশ্বাস রাখে, যে ব্যক্তি দাবি করে যে সে এক রাসুল (সঃ) এর উম্মত, সে কখনো রাসুলদের দেখানো অনুষ্ঠান ও সুন্নাত বাদ দিয়ে বিদেশী কাফেরদের অনুষ্ঠান পালন করতে পারেনা | যেমনঃ New year, valentine day, marry day, birthday, এই ডে সেই ডে আরো কত কি!
৫. আখেরাত দিবসের প্রতি ঈমান: যে ব্যক্তি আখেরাত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে সে কখনো মিথ্যা বলেনা, কাউকে ধোঁকা দেয়না, পরের হক মেরে খায়না, ওজনে কম দেয়না খাদ্যে ভেজাল মেশায়না | কারণ সে প্রকৃত ইমান রাখে যে কেয়ামতের দিন তাকে হিসাব দিতে গিয়ে আটকে যেতে হবে ৷
৬. তাকদীর বা ভাগ্যের প্রতি ঈমান: যে ব্যক্তি ভাগ্যের প্রতি ইমান রাখে সে কখনো অতীত নিয়ে আফসোস করেনা, এটা না করে এটা করলে ব্যাপক ভাল হতো বলেনা, সে ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত হয়না, কি করবে ও কি হবে ইত্যাদি ভাবেনা | হা একটা পরিকল্পনা থাকা চাই, তবে পরিকল্পনা তে তো আর যা বলেছি ওই রকম দুশ্চিন্তা থাকেনা | ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা আর পরিকল্পনা এক নয় | আর সে ব্যক্তি সদা বিশ্বাস রাখে যে তার ভাল মন্দ সব আল্লাহর হাতে, দুনিয়ার কোন পীর ফু দিয়ে তা পরিবর্তন করতে পারেনা | এর নাম ভাগ্যের উপর প্রকৃত ইমান |
৭. মৃত্যূর পর পুনরুত্থান: কিছু পাবলিক আছে যারা যেটা দেখেনা তা বিশ্বাস করেনা| তাদের বলবেন তোমার দেহে প্রাণ আছে? মাথায় মগজ আছে? তা তো দেখা যায়না তাহলে কেন বিশ্বাস করো? তাৱা আৰাৱ internet চালায়, ইথার বিশ্বাস করে ৷ যা হউক, তাদের এড়িয়ে চলা ভাল | কুরআনুল কারীমে হাজারবার বলা হয়েছেঃ মৃত্যুর পর তোমাদের অবশ্যই উঠানো হবে | যেমন সুরা ত্ব-হা এর ৫৫ নং আয়াত | যারা এ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে তারা প্রতিটি পদক্ষেপ হিসাব করে ফেলে যাতে কারো দাবির কাছে ফেঁসে না যায় ও হালাল পথে জীবিকা নির্বাহ করে |
অতএব আমরা এখন সহজে বুঝতে পারবো যে, কে মুখেই ঈমানের দাবি করে আর কে প্রকৃত ঈমান রাখে? আশা করি এই লেখা থেকে আমরা আমাদের ভুল গুলো সংশোধন করার প্রয়াস পাবো, আসুন আমরা আমাদের ঈমান ফিরিয়ে আনি | ফিরিয়ে আনি সেই সুশীতল সোনালী সমাজ | আজ দুনিয়ার বুকে মুসলিমরা রাজ্য হারিয়েছে নির্যাতিত হচ্ছে কারণ একটাই, তা হলো আমরা ইমান হারিয়েছি | ইমান কিভাবে আনবেন?
রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ ইমানের বৈশিষ্ঠ ৩ টি |
১. অন্তরে বিশ্বাস করা |
২. মুখে স্বীকার করা |
৩. কাজে পরিণত করা |
এই ৩ টি ৰৈশিষ্ঠ একত্র হতে হৰে ৷
[বুখারী ও মুসলিম]
***********************************
লেখা-
মো: খালিদ সাইফুল্লাহ
আইন ৰিভাগ
ই·ৰি· কুষ্টিয়া ৷
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন