[ পেশা – ব্যক্তিত্ব – ইসলাম ]
[ পেশা – ব্যক্তিত্ব – ইসলাম ]
কথা ২ টা এক নয়। একটা পূণ্যের আর অপরটি মহাপাপ।
1. "আমি শারীরিক বা মানসিক ভাবে দুর্বলতার ফলে একটা চাকরী করতে পারছিনা তাই করছিনা"
2. "আমি অনার্স পাশ বা মাস্টার্স পাশ করে এসএসসি ও এইসএসসি পাশের চাকরি করবোনা।"
*কথা ২ টা এক নয়। একটা পাপমুক্ত ও অপরটি অহংকার যা মহাপাপ। আর ১ম টি অপারগতার পরেও জয়েন না করায় সাওয়াব*
লেখাপড়ার একমাত্র উদ্দেশ্য টাকা আয় হওয়া ঠিক নয়। এটা হবে জ্ঞান অর্জনের জন্য। টাকা আয় করতে ব্যবসা আছে।
* কিছু পেশা আছে যা মাসে ৭০ হাজার টাকা বেতন হলেও শেষ উপায় না হলে করা উচিত নয়। আবার কিছু পেশা আছে যার বেতন ২০ হাজার হলেও তা আগে করা উচিত।
--
*যেমনঃ ব্যাংক এ বেশি ও স্কুলে কলেজে কম বেতন। ধর্মের কথা পরে বলি - আপনিই ভাবুন কোনটা করলে সারা জীবনের শিক্ষা আটকে থাকবে তা কাউকে বলার বা শেখানোর সুযোগটাও হবেনা? আর কোনটা করলে সব জাতীর ভেতর প্রচার করতে পারবেন? কোনটার সম্মান ৪ দেয়ালে বন্দি আর কোনটার সম্মান সমাজে আছেই সাথে সারা দুনিয়াতে পাবেন? নিশ্চয়ই ১ ছেড়ে ২ নেবেন। কেউ বলবেন যে যত আয় তত দান করতে পারবেন। তাকে জানতে হবে যে প্রজ্ঞাময় আল্লাহ এটা দেখেননা যে কে কত টাকা দিলো, বরং তিনি দেখেন যে - কে সম্পদের কত অংশ দিলো।
তাছাড়া
৪ ব্যক্তি সূদের দায়ে উভিশপ্ত। সূদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সূদের লেখক
ও সূদের সাক্ষী। সাধারণ ব্যাংক এ
তো ১ থেকে ৩ এ আটকে গেলেন। শরীয়াহ ভিত্তিক
কোন ব্যাংক এ যেতে হলে আলেম / মুফতি দের কাছে শুনে যেতে হবে। পেটে ১ পয়সা হারাম গেলেই কাম শেষ। ইমান, আমল, ইবাদাহ, সব জলে ভেসে যাবে। তলিয়ে যাবেনা হয়তো –
কারণ তওবাহ এর দরজা মৃত্যু পর্যন্ত খোলা। তবে ইচ্ছা করে পাপ করবেন এই ভেবে যে তাওবাহ করবেন এই চিন্তা
করবেন না।
--
*আরেকটা উদাহরণঃ একই বেতন একই কাজ কিন্তু দেখুন কোনটা নেবেন যদি তা শেষ উপায় হয়?
*পদ- নাইট গার্ড।
১) গ্রামে ও স্কুলে।
২)সরকারী রাজকোষে।
আপনার গর্ববোধ ও আত্মতৃপ্তি চাইলে ২য় এই বৃহৎ ক্ষেত্রে যাওয়া উচিত - এমনকি এখানে ১ম টার বেতন ৫ হাজার টাকা বেশি হলেও। বুঝতে হবে উদ্দেশ্য কি ছিলো। আমরা উদ্দেশ্য ভুলে গেছি।
একজন ফেসবুকে লিখেছিলো “একটি ঘোষণা: রাস্তা পারাপারে সতর্ক হোন। ফুটপাথ দেখে চলুন .
*এবং*
কর্ম ও আয় ইনকামের ব্যপারে সতর্ক হোন”
হারাম এ তৈরী শরীর কখনোও জান্নাতে যাবেনা। আর আয়টা হালাল হতে হলে কাজকর্ম ও টাকা উভয়ই হালাল হতে হবে।
# সুদ ঘুষ বা চুরি করা দিয়ে চাউল আর লাউ কিনে খেলেও তা হারাম।
# আবার, শিক্ষকতার বা ডাক্তারীর বৈধ টাকা দিয়ে কুত্তার গোশত বা বিড়ি মদ ইত্যাদি কিনে খেলেও তা হারাম।
* সূরাহ আল বাকারাহ তে মহান আল্লাহর ঘোষণা যে যা খাবেন তা বৈধ+পবীত্র হতে হবে।
২৪ ঘন্টা ইবাদাত
করুন কৌশলেঃ
মাথার চুল চেছে টাক করা অথবা চুল লম্বা ও মাঝারী করা এতেও ইবাদত ও বিপুল সাওয়াব আছে। পানি খাবেন এতেও ইবাদত ও বিপুল সাওয়াব আছে। বাথ্রুম করবেন এতেও ইবাদত ও বিপুল সাওয়াব আছে। ব্যবসা, চাকূরী,এমনকি
ঘুম পাড়া ও। কারণ এগুলো নিয়েও ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছেন। সেভাবেই করলে আপনার উপকার ও হবে, সঠিক উপায়েও করতে পারবেন, পুণ্য ও হবে। কারণ যে বিষয়ে আল্লাহ তার রাসুলের মাধ্যমে নিজে পথনির্দেশ ও উপায় বলেছেন তার কথাই ঠিক হবে না তও কার কথা ঠিক হবে?। জানতে হবে শুধু
*
সেগূলো জানার
উপায় কি?
২ টি উপায়ঃ
১. আলেম দের কথা শুনা বা আলেম দের বই পড়া।
২. তা শুনেই সাথে সাথে হাদিস এ সেই অধ্যায় খুঁজে পড়া, বা সেই আয়াত খুঁজে পড়া।
আলেম দের সাথে থাকার কারণ - প্রথম কারণ আল্লাহ বলেছেন "তোমরা যদি না জানো তাহলে যারা জানে তাদের কাছে জেনে নাও", তিনি আরোও বলেছেন "তোমরা সত্যবাদী দের সাথে থাকো” এজন্য
জ্ঞানী দের সাথে থাকতে হবে যারা ওহী এর জ্ঞানে জ্ঞানী। আরোও একটা কারণ আছে – আমরা কেউ হাদীস পড়ে সব পড়তে পারিনা, কিছু পড়লেও কোনটা
কোথায় প্রয়োগ হবে বুঝিনা, কিছু বুঝলেও কোনটা জাল কোনটা সহীহ তা
জীবওনেও বুঝবোনা। তাই অবশ্যই আলেম
দের হেল্প নিতে হবে। তবে এর মানে এই
নয় যে যেকোন ১ জন ঠিক আর সব ভুল। আর আলেম ছাড়া আপনি
হাদীস পড়বেন কিভাবে? ইমাম
বুখারী (রহঃ ) একটা হাদীস কে সহীহ বলেছেন
বলেই তো আপনি বা মি তা সহীহ বলে জানি ও পড়তে পারি। বা ইমাম মুসলিম (রহঃ) বা অন্য কেউ একটা হাদীস কে সহীহ বলেছেন বলেই তো
আপনি বা মি তা সহীহ বলে জানি ও পড়তে পারি।
আর তা থেকে জেনেই আমল করতে চেষ্টা করা উচিত আর অবশ্যই তা কিতবে দেখতে হবে। এর প্রথম কারণ –
আল্লাহ প্রথম শব্দ ওহী তে নাজিল করেন ইক্রা। যার অর্থ পড়। আর পড়লে আপনি
জানা মানুষ হতে পারবেন, মুসলিমরা শুনে শুনে মুসলিম নাম টা ঘুচাতে পারবেন। নিজে দেখলে তা বলতেও পারবেন,
আমল করতেও সুবিধা হবে।
আবারও সেই প্রথম কথায় আসি –
কথা ২ টা এক নয়। একটা পূণ্যের আর অপরটি মহাপাপ।
1. "আমি শারীরিক বা মানসিক ভাবে দুর্বলতার ফলে একটা চাকরী করতে পারছিনা তাই করছিনা"
2. "আমি অনার্স পাশ বা মাস্টার্স পাশ করে এসএসসি ও এইসএসসি পাশের চাকরি করবোনা।"
*কথা ২ টা এক নয়। একটা পাপমুক্ত ও অপরটি অহংকার যা মহাপাপ। আর ১ম টি অপারগতার পরেও জয়েন না করায় সাওয়াব*
একবার ভাবুন -
এখানে ২য় টি যে অহংকার। শরীয়াহ থেকে জানা যায় “যার মনে তিল পরিমান অহঙ্কার থাকে সে জান্নাতে যাবেনা”। সকল নবী রাসুল ছাগল চরিয়ে খেয়েছেন কিছু দিনের জন্য হলেও। তারপরের
একেক জন পেশায় ছিলেন সেরকম , যেমন ছুতার মিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, কৃষক ইত্যাদি। তাঁরা কি আপনার ডিগ্রীর চেয়ে কম মানের ছিলেন নাকি? নাউযুবিল্লাহ।
ইসলাম সর্বদা শিখেয়েছে –
বৈধ, পবীত্র যে কোন কাজে রত হওয়া। বেকার বসে না থাকা। কোন সাহাবী কখনও মুহাজির হলেও বসে থাকেন নি। বাজারে ৫ টাকা, ১০ মূল্যমান এর ব্যবসা (যেমন-ছোলা,পেয়াজ বিক্রি) টাকা থেকে শুরু করেছেন, কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। যাদু বলে নয়, অলৌকিক ভাবেও নয়। পরিশ্রম করে। কৃপনতা করে নয়, দানো করেছেন অনেক।
তাহলে কি আপনি বসে থাকবেন সরকারী চাকুরীর আশায়? ভয়
করবেন সম্মানের? জেনে
রাখুন – আল্লাহর ঘোষণা – সম্মান দেবার এর
মালিক ও আল্লাহ, জিল্লাত দেওয়ার মালিক ও আল্লাহ। কাজেই তার উপর ভরসা করুন ।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন