নিয়তের জন্য সাওয়াব ও নিয়তের জন্য পাপ
ইলম অর্জন করা ফরজ ইবাদত, ইলম অর্জনে মর্যাদা বাড়ে, যেভাবে হোক ইলম অর্জনে চেষ্টা রাখুন।
# নিয়তের জন্য সাওয়াব ও নিয়তের জন্য পাপ হয় কিভাবে দেখুন।======================
হযরত আবু কাবশাহ আন-নামারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন-
দুনিয়াতে আছে ৪ প্রকারের লোক-
১. যে বান্দাকে আল্লাহ ইলম (দ্বীনের জ্ঞান) ও সম্পদ উভয়টাই দান করেছেন, আর সে এই ক্ষেত্রে তাঁর রবকে ভয় করে।। এর সাহায্যে (ইলম ও সম্পদ) সে তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং এতে আল্লাহর হক আছে বলে মনে করে।। এই প্রকারের বান্দার মর্যাদা সর্বোচ্চ।।
১. যে বান্দাকে আল্লাহ ইলম (দ্বীনের জ্ঞান) ও সম্পদ উভয়টাই দান করেছেন, আর সে এই ক্ষেত্রে তাঁর রবকে ভয় করে।। এর সাহায্যে (ইলম ও সম্পদ) সে তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং এতে আল্লাহর হক আছে বলে মনে করে।। এই প্রকারের বান্দার মর্যাদা সর্বোচ্চ।।
২. আরেক প্রকার বান্দা আছেন, যাদের আল্লাহ ইলম দিয়েছেন কিন্তু সম্পদ দেননি।। কিন্তু সে নিয়তের ব্যপারে সৎ।। সে বলে- "যদি আমার সম্পদ থাকতো তাহলে আমি অমুক ব্যক্তির ন্যায় (ভাল) কাজ করতাম।। এই ব্যক্তির মর্যাদা তাঁর নিয়ত (ইখলাস) অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।। আর এই উভয় প্রকারের লোক (১ ও ২) সমান সাওয়াব পাবে।।
৩. আরেক প্রকার বান্দা আছে, যাদের আল্লাহ ইলম দেন নি কিন্তু সম্পদ দিয়েছেন।। সে ইলমহীন হওয়ায়, সে তার সম্পদ ইচ্ছামত যত্রতত্র খরচ করে।। এ ক্ষেত্রে সে তার রবকে ভয় করে না, তার আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ-ও করে না , আর এতে (সম্পদ) যে আল্লাহর হক আছে সেটাও সে জানে না।। এ ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরের।।
৪. আরেক প্রকার বান্দা, যাকে আল্লাহ ইলম ও দেন নি সম্পদ-ও দেন নি।। কিন্তু সে বলে "আমার যদি সম্পদ থাকতো অমুক ব্যক্তির মত (যা-খুশি তাই) করতাম"।। এই ব্যক্তির স্থান তার নিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।। কিন্তু পাপ হবে এই দুই প্রকারের (৩ ও ৪) সমান সমান।।
সূত্রঃ
জামে তিরমিযী- ২৩২৫।।
ইবনে মাজাহ- ৪২২৮।।
মুসনাদ এ আহমাদ-১৮০৩১।।
জামে তিরমিযী- ২৩২৫।।
ইবনে মাজাহ- ৪২২৮।।
মুসনাদ এ আহমাদ-১৮০৩১।।
----- --------Freebasics এ Readme2Know ব্লগ Comming---------- -----
প্রচারেঃ প্রতিদিন একটি হাদিস
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন