রমাদানে যাকাত এর আধুনিক মাসায়েল – পর্ব ১ (মাসায়েল সংখ্যা ২)
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আজ প্রথম পর্বে জাকাত নিয়ে ২ টি আধুনিক যুগের মাসায়েল সংক্ষেপে আলোচনা করবো।
প্রশ্ন ১ - প্রাইজ বন্ডের জাকাত দিতে হবে কিনা?
উত্তর - প্রাইজ বন্ড ও এই ধরণের যে লটারী গুলো আছে যার কেনার পরেও দাম আছে, যখন ইচ্ছা বিক্রি করা যায় এমন টিকেট, পত্র যদি এখনকার বাজার দরে (দাম কম বা বেশি হোক) বিক্রি করলে নেসাব পরিমান দামের হবে এমন হয় তবে তার যাকাত দিতে হবে , আর যদি এমন হয় এখন বিক্রি করলে নেসাব পরিমান দাম হচ্ছেনা পরে বিক্রি করলে নেসাব পরিমান দাম হবে তার জাকাত এখন দিতে হবেনা। আরেকটা কথা -এমন টিকেটের যে ড্র গুলো হয় আপনি জয়ী হইলে তার পুরস্কার নিতে পারবেন (হালাল হবে) ও তার যাকাত তখন দিবেন পরের বছর যদি নেসাব সম্পদ ঠিক থাকে।
তবে যদি এমন কোন কিছু হয় যার কোন দাম নাই যেমন ১০ টাকা বা ১০০ টাকা বা বেশি টাকা দিয়ে লটারি কিনেছেন যার পুরষ্কার আপনি পেতেও পারেন নাও পেতে পারেন ঠিক আছে কিন্তু আপনার সেই টিকেটের কোন দাম নাই, বিক্রি করাও যাবেনা বা ফেরত ও হবেনা এমন টিকেট মোট লাখ টাকার থাকলেও যাকাত দিতে হবেনা। আসলে এমন লটারী ইসলামী শরীয়তে হারাম ও (মহাপাপ) ।
প্রশ্ন ২ - শেয়ার বাজারের টাকার জাকাত দিতে হবে কিনা?
উত্তর - এর উত্তর ও ১ এর মতই, শেয়ার বাজারে শেয়ার কেনা আছে, তা বিক্রি হবে কখন অনেক পর, সমস্যা নাই, যদি এখন এমন হয় যে হিসাব মতে সাপোজ কম দামে হলেও বর্তমান বাজার দরে বিক্রি করলে আপনার নেসাব পরিমান দাম হচ্ছে তবে তার যাকাত দিতে হবে। এটা আগে হিসাব করে নিতে হবে। শেয়ারের জায়গাতে শেয়ার থাকবে কিন্তু আপনি জাকাত দিবেন।
ভিডিও গুলো গুগলে ভিডিও সেকশোনে "রামাদান প্রশ্ন উত্তর" বা "সাহরী ও রমাদান" লিখে সার্স করলেই পাবেন ।
সংগ্রহঃ
[চ্যানেল ৯ এর গত বছরের প্রশ্নোত্তর পর্বে]
- সাহরী ও রমাদান - রমজানের লাইভ প্রশ্নোত্তর
- শাইখ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া ও শাইখ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন