সব চাইতে বড় যে পাপ গুলি আমরা বেশি পছন্দ করি ; সূরা আল হুজুরাত থেকে
প্রথমেই জানিয়ে রাখছি ............
"দূর্ভোগ সেই সব মিত্থাবাদি পাপীর, যে আল্লাহর আয়াত আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্তের সাথে নিজ মতবাদে অটল থাকে যেন তা সে শোনেনি। ওকে সংবাদ দাও মর্মান্তুদ শাস্তির"
....................................
------------Al Quran: surah jaasiyah,, ayat: 7 and 8.
সূরা আল হুজুরাত ১১ নং আয়াতে ৬ টি হারাম কাজ ও তা মানতে না পারা কুফুরীঃ
হে ঈমানদারগণ, পুরুষরা যেন অন্য পুরুষদের বিদ্রূপ না করে৷ হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম | আর মহিলারাও যেন অন্য মহিলাদের বিদ্রূপ না করে | হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম | তোমরা একে অপরকে বিদ্রূপ করো না | এবং পরস্পরকে খারাপ নামে ডেকো না | ঈমান গ্রহণের পর গোনাহর কাজে প্রসিদ্ধ লাভ করা অত্যন্ত জঘন্য ব্যাপার | যারা এ আচরণ পরিত্যাগ করেনি তারাই জালেম |
সহজেই বুঝতে পেরেছেন, তবু দেখুন শেষ আয়াত বলছে - যারা এগুলো পরিত্যাগ করেনা। অর্থাৎ জানার পরও পরিত্যাগ করেনা তারাই জালেম। জালেম অর্থ অতযাচারী, অনাচারী, পাপী, শাস্তিযোগ্য।
সূরা আল হুজুরাত ১২ নং আয়াতে ৩ টি হারাম কাজ ও তা মানতে না পারা কুফুরীঃ
হে ঈমানদাগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ | দোষ অন্বেষন করো না | আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে | এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে ? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়৷ আল্লাহকে ভয় করো৷ আল্লাহ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু |
অনেকে ধারণা করে যেমন - আপনি সেই সব লোকদের অন্ধ অনুস্বরণ না করলে আপনি জাহেল (তাদের মতে), আপনি ইসলামের দুষমন। অথচ কোন আলেম কখনও কারো কথা যাচাই ছাড়া গ্রহন করেন নি। এদের কথায় কস্ট নিবেন না। সব কথার বিচার আল্লাহ করবেন। তারপর শুধু অনুমান করাই না, কারো দোষ খোঁজা একটা কবিরা গোনাহ। মানুষ মাত্র ই ভুল, ভুল খুঁজলে একজনের হাজার ভুল বাহির করা যায় এমনকি ভালো কাজের ও। তাতে হানাহানি বাড়ে। ভুল সবাই র ই থাকে, নিজেরটা দেখা যায়না নিজে এই আর কি। তাই সবার ভালো দেখলে কোন হানা হানি হয়ন। আর আরেকটা পাপ হলো গীবত। আমরা বাঙ্গালী ছলে কৌশলে গীবত কে জায়েজ বানাই তারপর গীবত করি। একের ভেতর থাকা দোষ অনযকে বলা গীবত। আর দোষ না থাকলে তা বলা অপবাদ।
আল কুরআন- সূরা আল হুজুরাত
আজকের ২ টি আয়াতে এই ৯ টি কাজ গুলো করা হারাম ও কবিরা গুণাহ | অথচ আজকালের কতিপয় মুসলমান রা অপরের রটনা করতে গিয়ে নিজের শ্রেষ্টত্ব প্রচার করতে গিয়ে উপরের কাজগুলো করে ফেলে | কেউ বা ফ্রেন্ড বা বন্ধু দের সাথে ইয়ার্কী করে এগুলা করে | অথবা যার সাথে সম্পর্ক একটু ভাল তার সাথে করে | আপনারা সাবধান হোন | ইসলাম শুধু ধর্মের নাম নয়, ইসলাম দিয়েছে পরিপুর্ণ জিবন ব্যাবস্থা ও গাইড, সেভাবে দিয়েছে যেভাবে দিলে শান্তি আসে ও সুখ আসে | তাই জীবনে শান্তি অটুট রাখতে আয়াত এড়িয়ে যাবেন না | আয়াত মান্য করা মুসলিমের ইমানী দায়িত্ব | অর্থাৎ ইমান রাখতে হলে আয়াত মানতে হবে | কুফ্ফার হতে চাইলে আয়াত মানার দরকার পড়েনা |
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন