আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমরা মনে করি যার টাকা পয়সা কম খরচ করে সে কৃপণ , যার সম্পদ কম খরচ করে সে হয়তো কৃপণ। অথবা যার গায়ে কম দামি জামা , ঘরে কম দামী ডিজাইন আছে সে হয়তো কৃপণ। না আসলে তা নয়। ।
আসলে সব চাইতে কৃপণ , অরিজিনাল কৃপ্ণ, বড় কৃপণ অন্যজন যা এখন আমরা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঐশী বাণী থেকে শুনবো।
আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম (আমার নাম উচ্চারিত হল), অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না।” (তিরমিযী, হাসান সহীহ) [7]
আমরা ওয়াজ মাহফীল শুনি বা শুনতে যাই যারা, কয়েকশত বার যার নাম বলা হয়, অথচ শোতারা + মুসল্লিইয়ান ইকরাম (সম্মানিত নামাজী) কেউই দরুদ পড়তে চাইনা। আমরা মনে করি হুজুর বা বক্তা যখন বলবেন তখন বল্বো। না এটা সুন্নাত নয়। আবার আজানের ভেতর ও দরুদ না পড়ার খারাপ ফল কম নয়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওয়াজ বা বয়ানের ভেতর অনেক কথা বলতেন, প্রশ্ন করতেন, কিন্তু কোন এক ওয়াজে কোন এক ভাষণের ভেতর তিনি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবর এসব বলতে বলেছেন এরকম বর্ণনা পাওয়া যায়না, তবে সাহাবী গণ বলতেন। নিজ দায়িত্বে নিজের আবেগে সাহাবীগণ বলতেন এগুলো।
আমার বাঙ্গালী রা সব জায়গায় বিপরীত......।।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন