Readme2Know । (কিছু সত্য জানতে- কিছু সত্য জানাতে) । The Pure Guidelines । Get us on FreeBasic.Com

রোজার প্রকার ও যে রোজা রাখা পাপ ও নিষেধ (জানুন)

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই বোন ও বন্ধুরা। হয়তো ভাবছেন রোজা আবার রাখা কেমনে খারাপ হয় হয়? কেমনে পাপ হয়? কেমনে নিষিদ্ধ হয়?হা! এমন কিছু স্পর্শ কাতর বিষয় আছে তা যেমন মুসলিম দের জানা জরুরী, তেমন তা গুরুত্ব পুর্ণ ও। 

যখন যেভাবে রোজা রাখলে পাপী হতে হবে বা পাপ বাড়বে।।একটি হাদীসে আছে
 "যে ব্যাক্তি রোজা থেকেও মিথ্যা বলা ও ধোঁকা দেওয়া ত্যাগ করলোনা তার রোজা ক্ষুধা পিপাসা ছাড়া কোন উপকার দেয়না". 

কিন্তু রোজা থেকে সাবধান থাকা জরুরী তা হলো শিরক রোজা। রাসুল (স) বলেছেন "যে লোক দেখানো নামাজ পড়ে সে শিরক করে, রোজা রাখে সে শিরক করে, যে লোক দেখানো দান করে সে শিরক করে" (বুখারি,মিশকাত)

# হাদীসের ব্যাখ্যা:
 সারা বছর যদি নামাজ না পড়ি ,ভালো কাজ না করি তবে রোজা না রাখলে বন্দুরা খারাপ বলবে এই চিন্তায় রোজা রাখা অবশ্যই শিরক (কেননা রোজা আল্লাহ কে দেখানো উচিত ছিলো)।  তবে অনেকে আছেন যারা লোকের  লজ্জায় পড়েন এমন নয়, ঠিক ভালো হওয়ার  জন্য পড়েন, তাদের কথা হাদিসে ববলা হয়নি। 

আমরা এর ভেতর না পড়ে যাই। আর এই ধরনের রোজা না রাখলে শিরক হবেনা কিন্তু  ফরজ ত্যাগের পাপ হবে যা শিরক এর চেয়ে কম গুরুতর। 


আমি রোজা রাখতে নিষেধ করছিনা, বলছিলাম যে, যদি এমন হয় যে, ""রমজান এসেছে তাই রোজা রাখবেন নামাজ পড়বেন আর রোজা গেলে আপনি উধাও"" তবে রাখার চেয়ে না রাখা ভালা। এটা  গুরুত্ব  বুঝাতে  বলছি। ভুল উদ্ধৃতি করবেননা দয়া করে।

হা রোজা অবশ্য পালনীয়, নামাজী না হলেও তাওবা করতে হবে ও সীদ্ধান্ত নিতে হবে যে নামাজ বা রোজা কখনও ছাড়বোনা, পালন করব আল্লাহর ইবাদত এজন্য, কে ভালা বলল বা না বলল সেজন্য নয়।

কারণ রমজান মাস ই তাওবা ও বিশুদ্ধ হওয়ার মাস।চোখ বুলিয়ে নিই রোজা মোট ৬ প্রকার।

১। ফরজ রোজা। যেমন - রমজান এর ৩০ রোজা।

২। ওয়াজিব রোজা। যেমন - মান্নত বা কাফফারা রোজা।

৩। সুন্নাত রোজা। যেমন আরাফার দিন (জিলহাজ্জ এর ৯ তারিখ) রোজা, আইয়্যামে বিদ (প্রতি আরবি মাসে ১৩, ১৪,১৬ তারিখ রোজা)।

৪। নফল রোজা। উপরের ৩ টি ছাড়া বাকি সবই নফল রোজা। যেমন - শাওয়াল এর ৬ রোজা, প্রতি সোম ও বৃহঃ বার রোজা।

৫। মাকরুহ রোজা। যেমন - শুধু আশুরার ১ দিন রোজা, যদিও রাখতে হবে ২ দিন। স্বামীর অনুমতি ছাড়া রোজা।

৬। হারাম রোজা। বছরে ৫ দিন রোজা রাখা হারাম। ২ ঈদ, জিলহাজ্জ এর ১১, ১২, ১৩ তারিখ।

♥ কমন একটি কথা মনে রাখবেন, যখন যে সময় নামাজ, কুর'আন পড়া ও রোজা রাখা নিষেধ, তখন তা না পড়াটাই ইবাদত, কিন্ত পড়া কুফরি বা কবিরা গুনাহ।তাই এগুলো এই সময় পড়ার চেয়ে না পড়া ই ভালা। ঠিক তো?


Follow this site -- http://islamhouse.com/bn

কোন মন্তব্য নেই

Page 1 of 31123...50
LOAD MORE POST
Blogger দ্বারা পরিচালিত.